টিপস

নিলামে কেনা মোটরসাইকেল যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন


থানায় বা কাস্টমসে জব্দ মোটরসাইকেল বিভিন্ন সময় নিলামে (অকশন) বিক্রি করা হয়। কোনো ব্যক্তি যখন নিলামে অংশ নিয়ে এ ধরনের মোটরসাইকেল কেনেন, তার মানে এই নয় যে তিনি ওই মোটরসাইকেল রাস্তায় চালানোর অনুমতি পেলেন। কেননা, নিলামে কেনা বাইকের সঙ্গে যে কাগজপত্র দেয়া হয়, সেটি শুধু বৈধ ক্রয়ের কাগজ, রাস্তায় চালানোর অনুমতিপত্র নয়। তাই নিলামে কেনা মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ছাড়া রাস্তায় চালাতে গেলে পড়তে হবে পুলিশি বাধায়, পেতে হতে পারে শাস্তি।

তাই কেউ যদি এ ধরনের মোটরসাইকেল রাস্তায় চালাতে চান, তবে তাকে বিআরটিএ থেকে রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। তবে এ ধরনের মোটরসাইকেল বৈধভাবে আমদানি করা গাড়ির মতো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন করার আগে বেশকিছু কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে।
থানা বা কাস্টমস যেকোনো অকশন থেকে কেনা মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য নিম্নোক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন।

১। অকশনের খবরের পেপার কাটিং

২। সিএস কপি/তুলনামূলক বিবরণী

৩। সর্বোচ্চ দরপত্র গ্রহণ

৪। বিক্রয় আদেশ

৫। বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক কর্তৃক সিসি নির্ধারণের সার্টিফিকেট

৬। অকশনে কেনার টাকা জমার রসিদসমূহ

৭। কাস্টমস অফিসারের মন্তব্য

৮। কাস্টমস অফিসারের ছাড়পত্র

৯। কাস্টমস ডেলিভারি অর্ডার

১০। কাস্টমস ডেলিভারি মেমো

১১। কাস্টমস ডেলিভারি ইনভয়েস

১২। নিলাম ক্রেতার অঙ্গীকারনামা

১৩। বিক্রেতার ১৫০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্পে এফিডেভিট

১৪। ক্রেতার ১৫০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্পে এফিডেভিট

১৬। টিও, টিটিও, বিক্রয় রসিদ

১৭। ক্রেতার টিন সার্টিফিকেট

১৮। মোটরযান পরিদর্শকের গাড়ি পরিদর্শন এবং তার স্বাক্ষর

১৯। এইচ ফরম পূরণ

২০। পরিচালক (ইঞ্জি.) বিআরটিএর অনুমোদনপত্র/স্বাক্ষর

২১। টাকা জমার রসিদসমূহ

এরপর রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া সাধারণ বাইক রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মতোই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button